মাদারগঞ্জের মদনগোপাল এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ।JAMALPUR DESK - Jamalpur Desk

Latest

JAMALPUR DESK NEWS MEDIA WEB SIT.

BANNER 728X90

Monday, August 31, 2020

মাদারগঞ্জের মদনগোপাল এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ।JAMALPUR DESK


মাদারগঞ্জের মদনগোপাল এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম
মাদারগঞ্জের মদনগোপাল এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম

মাদারগঞ্জের মদনগোপাল এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ।JAMALPUR DESK

জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের কুটামনি গ্রামের মোঃ আয়নাল হকের কন্যা আনঞ্জুয়ারা বেগম স্বামীর সংসার থেকে বিতাড়িত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার মদনগোপাল গ্রামের মোঃ মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র স্থানীয় আল হেরা নুরানী মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম এর সাথে ১৬ বছর পূর্বে আঞ্জুয়ারা বেগমের বিয়ে হয়।

 বিয়ের সময় আঞ্জুয়ারা বেগমের পিতা জামাতার চাহিদা মোতাবেক নগদ টাকাসহ গহনা ও জিনিসপত্র প্রদান করলে তারা স্বামী স্ত্রী ঘর সংসার করতে থাকে। ইতোমধ্যে হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের মাতা- মোছাঃ অহেলা বেগম ও ছোট ভাই মোঃ রহম আলী প্ররোচনায় আঞ্জুয়ারা বেগমের স্বামী হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম তিন লাখ টাকা তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক এনে দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আঞ্জুয়ারা বেগম তার পিতার অপারাগতার কথা জানালে হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৩ আগষ্ট আহেলা বেগম ও রহম আলীর সহযোগীতায় আঞ্জুয়ারা বেগমকে লোহার রড দিয়ে বেদড়ক মারপিট এবং তার গোপানাঙ্গেও পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোাগীতায় আঞ্জুয়ারা বেগম তার স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে পালিয়ে আসেন। তার অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন গত ১৪ আগষ্ট দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গৃহবধূ আঞ্জুয়ারা বেগমের শরীরের ভিন্ন জায়গায় জখম যন্তণায় ছটফট করছেন। খবর পেয়ে জামালপুরের অ্যাডিশনাল এসপি সীমা রানী সরকার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধূকে দেখতে যান। তিনি আঞ্জুয়ারা বেগমকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়ার আশ^াস দেন। আঞ্জুয়ারা বেগমের ভাই মোঃ বিপ্লব হোসেন ওরফে বাদশা মিয়া বলেন, বোনের নির্যাতনের অবস্থা দেখে আমরা হতভম্ব। পরিবারের কারো মাথা ঠিক নেই। নির্যাতনের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গত ১৫ আগষ্ট মাদারগঞ্জ থানায় আব্দুল হালিম, অহেলা বেগম ও রহম আলীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১১-(গ)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-১২।

আঞ্জুয়ারা বেগমের ৮ বছরের একটি ছেলে ও ৬ বছরের ১টি মেয়ে রয়েছে। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার হাসানুল বারী বলেন, গত ১৪ আগষ্ট স্বামী নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ আঞ্জুয়ারা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বোতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার পিঠে এবং দুই হাতে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। জামালপুরের অ্যাডিশনাল এসপি সীমা রানী সরকার বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। তাকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। দ্রুত তার স্বামীকে আইনের আওতায় আনা হবে। গৃহবধূকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।

মাদারগঞ্জের মদনগোপাল এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিমের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম ।JAMALPUR DESK

No comments:

Post a Comment