মাদারগঞ্জের মেয়ে আমেরিকা ইউএসএ এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীতে চাকরিতে যোগদান। - Jamalpur Desk

Latest

JAMALPUR DESK NEWS MEDIA WEB SIT.

BANNER 728X90

Tuesday, July 21, 2020

মাদারগঞ্জের মেয়ে আমেরিকা ইউএসএ এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীতে চাকরিতে যোগদান।


মাদারগঞ্জের মেয়ে আমেরিকা ইউএসএ এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীতে চাকরিতে যোগদান।
মাদারগঞ্জের মেয়ে আমেরিকা ইউএসএ এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীতে চাকরিতে যোগদান।
আমেরিকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চাকরি সাফল্যে বড় ভাইয়ের শুভেচ্ছা।


জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার ৩ নং গুনারতলা  ইউনিয়ন এর গুনারীতলা গ্রামের এর আমেরিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভব রাহমা হাওয়া (ইউএসএ) এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীতে চাকরির যোগদানের সাফল্যে তার পরিবার ও বিশেষ করে বড় ভাই সাজেদুল ইসলাম সাজেদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।তিনি আমেরিকার একজন নাগরিক।বর্তমানে স্টেট বাটন রুজ লুইজিয়ানায় বসবাস করেন।

তিনি উডলোন হাই স্কুল থেকে ১-১২ লেভেল পড়াশুনা শেষ করেন।পরে দ্যা এয়ারফোর্স হেজএ কলেজে গ্র্যাজুয়েট পড়াশুনা করছেন।পরিবারের চার সদস্যের মধ্যে তিনিই সবার ছোট।ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছেন।মা অনেক কষ্ট করে তাদের পড়াশুনা করিয়েছেন বলে জানান।এছাড়াও বড় দুই ভাই গ্যাস স্টেশনের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

তার বড় ভাই সাজেদুল ইসলাম সাজেদের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া হুবহু তুলে ধরা হলো,আমার আদরের ছোট বোনটি আমেরিকার মতো একটা দেশের সরকারি বিমান বাহিনীর
কর্মকর্তা।

 আলহামদুলিল্লাহ ,গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে।আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো বেশি খুশি হতো আমাদের আনন্দটা আরও দ্বিগুণ হতো।এটা সত্যিই আমাদের পরিবারের জন্য আনন্দের খবর ও গর্বের বিষয় এবং আমার জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্যও।নিজের ইচ্ছা ছিল সরকারি কোনো সৈনিক বা কর্মকর্তা হওয়ার কিন্তু সেটা পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সময় সুযোগের জন্য হয়ে ওঠেনি,হয়তো রিজিকেই ছিলো না।মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া তিনি সেই স্বপ্নটা আমার ছোট বোনের জন্য পুরণ করছেন।

কাজ থেকে বাসায় ফিরে তোকে খুব মিস করবো বোন, তোর সাথে হয়তো চাইলে আর আগের মত খুনসুটি হবে না, তোকে রাগানোর জন্য আমার বিশেষ আজাইরে বানী বিয়ে দিমু তরে এই কথাটি হয়তো আর আগের মত বলতে পারবো না।

কারন তুই এখন আমেরিকার মত দেশের একজন সৈনিক।এদেশের সামান্য দায়িত্ব হলেও তোর উপর অর্পিত হবে বোন। তোর জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।দোয়া করি অনেক বড় হয়ে নিজেকে ও আমাদের পরিবার আমাদের সব আপনজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে গৌরব দেবি।গৌরব দিবি আমাদের জন্মভূমি বাংলা মা-রুপের রানী প্রিয় বাংলাদেশের ১৮ কোটি অধিক মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনকে।

গৌরব দিবি ((ইউএসএ) এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীকে ও আমেরিকাকে।সবাই কলিজার বোনটির জন্য দোয়া করবেন।আমার বোনটি যেন ওর নতুন জীবন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে শুরু করতে পারে এবং জীবনে যেন অনেক বড় হয় এবং ভালো কিছু করতে পারে।ওর প্রতিটি স্বপ্ন যেন সত্যি হয়।সবার উদ্দেশ্যে সর্বশেষ একটি কথা বলতে চাই।আপনাদের ছেলে,মেয়ে,ছোট ভাই-বোনদের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন এবং ওদের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করবেন।সমস্ত প্রকার ক্রাইম বা অপরাধ থেকে দূরে রাখবেন।

বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন।ওরা ভালো কিছু করুক ভবিষ্যৎ প্রজন্মটাইতো ওদের হাতে।ওদের মাঝ থেকেই হয়তো কেউ কেউ এই প্রিয় বাংলাদেশটাকে কাধে নিয়ে অগ্রসর হবে সামনের দিকে।কেউ কেউ হয়তো সুনাম ছড়াবে দেশে-বিদেশে।গৌরব দিবে আপনাকে আমাকে দেশ ও দশকে।

উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকেই অভিবাসীরা চাপের মধ্যে রয়েছে। শুরু থেকেই কঠোর অভিবাসন নীতি অনুসরণ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। নানাভাবে চাপের মধ্যে রাখা হচ্ছে অভিবাসীদের। ছোটখাটো অজুহাত খুঁজে আমেরিকা থেকে বহিষ্কারের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। এই চাপের মধ্যেও দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বাদ দিলে আমেরিকায় বাংলাদেশি অভিবাসীরা বেশ কয়েকটি সুখবর নিয়ে এসেছেন।বাংলাদেশি আমেরিকানদের এ বছরের সেরা কয়েকটি অর্জন এখানে তুলে ধরা হলো-বছরের সবচেয়ে বড় অর্জনটি আসে সম্মিলিতভাবে। আর এই অর্জন নিয়ে আসে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।আমেরিকার প্রায়ই বিশেষায়িত স্কুলগুলোতে বর্তমানে প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর একজন বাংলাদেশি ।অবিশ্বাস্য হলেও এটিই সম্ভব করে দেখিয়েছে।

রাহমা হাওয়া  আমেরিকার একজন নাগরিক তিনিই প্রথম আমেরিকাতে (ইউএসএ) এয়ারফোর্স বিমান বাহিনীতে চাকরিতে যোগদান করেন।তিনি উডলোন হাই স্কুল থেকে (১-১২) লেভেল পড়াশুনা শেষ করেন।পরে দ্যা এয়ারফোর্স হেজএ কলেজে ( গ্র্যাজুয়েট) পড়াশুনা করছেন।ভবিষ্যতে তিনিই বিমান উন্নাতিকরণে গবেষণা করতে চান ও সবার দোয়া চেয়েছেন।শুধু আমেরিকায় নয় সমগ্র পৃথিবীতে বাংলাদেশিরা আরও সাফল্য অর্জন করবে ও এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা করেন রাহমা হাওয়া।
নিউইয়র্ক পুলিশের উচ্চপদে আবদুল্লাহ”বছরের শেষ মাসে পরপর দুটি সুখবর নিয়ে আসেন দুই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা।একজন খন্দকার আবদুল্লাহ,যিনি আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশ আমেরিকান হিসেবে পুলিশের উচ্চপদে পদোন্নতি পান।নিউইয়র্ক পুলিশের ক্যাপ্টেন পদে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।ক্যাপ্টেনের ওপরের পদই হচ্ছে পুলিশ কমিশনার, যা রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রচারে:জামালপুর ডেক্স
JAMALPURDESK NEWS

No comments:

Post a Comment