জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের শেডটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থা থাকার ধরুন, রেলওয়ে যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তেন বৃষ্টি এলেই। আজ সেই ভোগান্তির ক্লান্তি দূর হচ্ছে মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি’র সুদৃষ্টির ছোঁয়ায়।
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন:
জানা গেছে ১৮৮৫ সালে বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের সাথে ঢাকার সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে রেলপথ স্থাপিত হয়।১৮৯৪ সালে জামালপুর পর্যন্ত এই রেলপথ আসে। এরপর ১৮৯৯ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলার জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় এই রেলপথ ।এবং এ রেলপথের স্টেশন হিসেবে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়।
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন:
এদিকে প্রায় শতবর্ষ পূর্বে নির্মিত হওয়া এই স্টেশনটিতে কখনো উন্নয়নমূলক সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। জানা গেছে, কখনো টেন্ডার হলো ঠিকাদার পাওয়া যায়নি আবার ঠিকাদার পেলে টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এমনি তালবাহানার মধ্যদিয়ে কেটে গেছে, এই স্টেশনটির প্রায় এক’শ বিশটি বছর। জানা যায় বিগত ৫/৬ বছর যাবৎ সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের শেড জরাজীর্ণ হয়ে কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে যায়। যার সংস্কার হয় হচ্ছে বলে শুনে আসছিল রেলওয়ে কর্মকর্তারা সহ এলাকাবাসী।
কিন্তু পরিবর্তনের কোন ছোঁয়াই লাগছিল কোন অদৃশ্য অভিশাপে। এদিকে নানান রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সরিষাবাড়ীর স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার ছিলেন মাতৃত্বন্ধন হতে বিছিন্ন ও বিতাড়িত। যার প্রেক্ষিতে আলোর ছোঁয়া ও উন্নয়নের স্পর্শ কখনো লাগেনি বিভিন্ন অবহেলিত স্থাপনায়। আজ সেই অবহেলিত স্থাপনাগুলো সংস্কার হচ্ছে তড়িৎ গতিতে।
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে কাজটি:
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের শেডের কাজটি ১৭ লক্ষ টাকা বাজেটে টেন্ডার হয়েও ফিরে যাচ্ছিল ঠিকাদার না পেয়ে। যা বরাবর হয়ে আসছিল। এবারও ২২শে জুন টেন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রজ্ঞাপন থাকলেও ২৫শে জুন কাজটি পুনরায় নব উদ্দামে শুরু করেছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী সম্মোহিত করার হেতুতে। কাজটি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রীজ ও শেড নির্মাণ ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন এবং ঠিকাদার হিসেবে সাব কন্ট্রাক্ট পেয়েছেন মেসার্স এমদাদ এন্টারপ্রাইজ।
বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ শেষাংশে চলে এসেছে বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি জানান। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন স্টেশনের পূর্বের শেডটি পরিবর্তন করে নতুন মডেলে নির্মিত হচ্ছে। এখন থেকে যাত্রীসাধারণকে আর রোদ-বৃষ্টি ঝড়ের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তারা রেলওয়ে শতভাগ সেবা পেয়ে সানন্দে যাত্রা করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
No comments:
Post a Comment